নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে জমি নিয়ে বিরোধে মারপিট, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ৯ ডিসেম্বর কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। এর আগে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামে গত ২৫ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মামলা রেকর্ড না করায় ৪ ডিসেম্বর একই পরিবারের ৬ জনের নামে আদালতে মামলা করেন একই গ্রামের আসাদুজ্জামান। আসামিরা হলেন- একই গ্রামের শরিফ শেখ তার স্ত্রী নুকী বেগম, চার ছেলে আনিছ, কওছার, রমজান ও রায়হান।
বাদী আসাদুজ্জামান মামলায় জানিয়েছেন, আসামিদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাদীর বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে আসামিরা বাদী ও তার পরিবারকে খুন-জখমের হুমকি ও ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ২৫ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে আসামিরা ধারালো অস্ত্রসহ বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের নিষেধ করা হলে বাদীকে মারপিট শুরু করে। এরপরে ঘরের মধ্যে ঢুকে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা, আড়াই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ভাংচুর করে আরো দেড় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এরপর তাদের চিৎকরের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের মারপিট করে আহত করে। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিন্তু বাদীর ভাই শাহাদৎ ও মোশারফ হোসেন তাদের মারপিটে মারাত্মক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হয়ে ঢাকার ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সাইন্স হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকেরা। সেখান চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকার করায় ৪ ডিসেম্বর আদালতে এই মামলাটি করেছিলেন আসাদুজ্জামান। বিচারক বিচারক ইমরান আহম্মেদ এই মামলাটি গ্রহণপূর্বক সাত কার্য দিবসের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনায় ৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে।