জাহাঙ্গীর আলম
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এম এম) কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে আধুনিক বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স (ফেস লগ-ইন) ডিভাইস কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে কলেজের নতুন বিজ্ঞান ভবনের চতুর্থ তলায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের সভাপতিত্বে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আহসান হাবীব উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্ব নিয়ে কলেজের প্রশাসনিক, একাডেমিক, সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তিগত তথা সার্বিক উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দক্ষিণবঙ্গের স্বনামধন্য এ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ডিভাইস স্থাপন এগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর সুফল তোমরা লাভ করবে। তোমরা তরুণ শিক্ষার্থী, তোমাদের মনে নানা উৎসাহ ও আবেগ উঁকি দিবে কিন্তু এগুলো এড়িয়ে তোমাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতি ও অধ্যায়ন তোমাদের সেই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন,‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় এবং শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে; তাদের জন্য স্মার্ট শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে কলেজ প্রশাসন। এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে সমন্বিত প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে। এ নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল কলেজটি।’
ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বক্কর সিদ্দিকী, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মদন কুমার সাহা, কলেজের ১৯টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপকবৃন্দ, উচ্চ মাধ্যমিক মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসীন উদ্দীন, অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, নতুন বিজ্ঞান ভবনে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি, আব্দুল হাই কলা ভবনের দ্বিতীয় মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ তলায় বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীর জন্য একটি বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির নিশ্চিতকরণে প্রাথমিকভাবে ইতিহাস বিভাগে একটি ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে।