আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগান সীমান্তের কাছে পাকিস্তানি সেনাদের অভিযানে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে চালানো দুটি পৃথক অভিযানে এই হাতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই স্থানীয় তালেবানের সদস্য বলে দাবি তাদের।
শনিবার সীমান্তবর্তী এক জেলায় অতর্কিত হামলায় ১২ জন সেনা নিহত হওয়ার পর এই ঘটনা ঘটল। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)।
সোমবার গভীর রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সপ্তাহান্তে ৩১ জন টিটিপি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। নিহতরা আর্চ ফাইট ইন্ডিয়ার জঙ্গিদের মদদ দেয়ার জন্য অভিযুক্ত।
পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি বাহিনীকে মদদ দেয়ার অভিযোগ করে আসছে। সোমবার গভীর রাতে প্রকাশিত বিবৃতিতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে অন্য যেকোনো ভারতীয় মদদপুষ্ট জঙ্গিদের নির্মূল করার জন্য অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কাবুলে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন, গত দুই মাসে টিটিপি জঙ্গিদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা পরিচালনাকারী টিটিপি আফগান তালেবান থেকে আলাদা একটি গোষ্ঠী।
ইসলামাবাদ প্রতিবেশী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, তারা আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও কাবুলের কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এএফপির এক পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছর উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় ৪৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, গত বছরটি প্রায় এক দশকের মধ্যে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক ছিল। ওই সময়ে এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সেনা ও পুলিশের সদস্য এবং কর্মকর্তা।
সূত্র : আল আরাবিয়া
