নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে একটি তেলপাম্পে চাঁদাবাজি মামলার পাল্টা আরেকটি মামলা করা হয়েছে। মদ্যপান করে উচ্চস্বরে গান বাজনা করার অভিযোগে এবার তেল পাম্পের মালিকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা না থাকায় পুলিশ বিষয়টি আমলে না নিলেও আদালতে দায়ের করা পিটিশনটি এবার থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ার আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে লাইফ জোয়ারদারের ছেলে এবং শংকরপুর বটতলা এলাকার আফরিন তেল পাম্পের মালিক আজমীর জোয়ারদার, বেজপাড়া তালতলার নাগুর ছেলে টনি এবং খালধার রোড এলাকার জিকো।
মামলার বাদী শংকরপুর ইসহাক সড়ক এলাকার দুরুল হুদা মামলায় উল্লেখ করেছেন, শংকরপুর বটতলা এলাকায় আফরিন তেল পাম্প নামে আজমীর জোয়ারদারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ওই পাম্পের পিছনে সার্ভিস সেন্টারে প্রতিনিয়ত মদ্যপান এবং উচ্চস্বরে গান বাজনা করা হয়। সেখানে মদ্যপান ও গানবাজনা করতে নিষেধ করা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ২৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার (বাদীর) ছেলে খলিলুল্লাহ সাগর ইতালী দূতাবাসে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য বাড়ি থেকে রওনা করেন। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হতেই গানবাজনা ও মদের আসর দেখে তিনি তাদের নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করা হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন নিয়ে খলিলুল্লাহকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে কোতোয়ালি থানায় গেলে মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ১৯ ফেব্রুয়ারি এই ব্যাপারে আদালতে পিটিশন মামলা করা হয়। বিচারক টিপিশনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে টিপিশনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে থানা পুলিশ।
অপরদিকে এই মামলার আসামি আজমী জোয়ারদারের তেলপাম্পে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করতে যেতেন দুরুল হুদা ও তার কয়েকজন সহযোগী। এই ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে দুরুল হুদাসহ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আফরিন তেলপাম্পে চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দেয়ায় পাম্পের কাউন্টারের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ওই পাম্পের নাইট গার্ড নজরুল ইসলাম ঠেকাতে এলে তাকেও মারপিট করা হয়। এই ঘটনায় ১৮ ফেব্রুয়ারি তেলপাম্পের মালিক আজমীর জোয়ারদার বাদী হয়ে দুরুল হুদা ও তার ছেলে খলিলুল্লাহ সাগরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে আদালতের মাধ্যমে মামলাটি করা হয়েছে বলে আজমীর জোয়ারদার জানিয়েছেন।