নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ক্ষেতে থাকা ফলন্ত আমগাছ কেটে ফেলায় শনিবার চাঁদপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে শালিস মীমাংসা হয়েছে। এসময় জড়িত কিশোরদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও তাদের অভিভাবকদের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের (ভায়না) রাজাপুর গ্রামে আবুল কাশেম শিকদারের একটি নেপিয়ার ঘাস ক্ষেতে রয়েছে। এই ঘাষ ক্ষেতের মধ্যে দশটি ফলন্ত আমগাছও রয়েছে। প্রায় তার ক্ষেত থেকে ঘাষ চুরির ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার একই গ্রামের আমেনা বেগম চুরি করে ঘাষ কাটছিলেন। এসময় কাশেম শিকদার তাকে হাতেনাতে আটক করে। ক্ষেত থেকে কাটা ঘাষ তার বাড়িতে পৌছায় দেওয়ার জন্য আমেনা বেগমকে বকা দেয়।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমেনা বেগমের নাতি ছেলে সোহাগসহ চার কিশোর গত ২৭ মার্চ গভীর রাতে কাশেম শিকদারের বাগানের ১০টি ফলন্ত আম গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। এই ঘটনায় কাশেম শিকদারের ছেলে আব্দুল্লাহ চারজনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানার একটি অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলো বাবুলের ছেলে সোহাগ, সিরাজের ছেলে বাপ্পি, ইবাদ আলীর ছেলে স্বাধীন, তরিকুলের ছেলে রিয়াজসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন।
কোতোয়ালি থানায় দেয়া অভিযোগে বুধবার সকালে চাঁদপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে এক শালিস বৈঠক হয়। ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম ও ভায়না-রাজাপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতে ৫ হাজার টাকা জরিমানায় মীমাংসা করা হয়।
চাঁদপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা সকলে কিশোর। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। কিশোরদের অভিভাবকদের হুশিয়ারি করে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। শালিসে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সম্প্রতি রাজাপুর যুমাদ্দারপাড়ার বাহার আলীর বাড়িতে হামলা ও মারপিটের অভিযোগ করে। তাদের সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বারবার জরিমানা করা হলেও তাদের দৌরাত্ম্য কমছে না।