কল্যাণ ডেস্ক: ২০ দিনের ব্যবধানে তিন দফায় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। আমদানি ব্যয় পরিশোধে মার্কিন ডলারের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বাজারে সরবরাহ না থাকায় ডলারের দাম বাড়ছে । তা ছাড়া রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ও বাড়েনি। ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে ৮০ পয়সা।
গতকাল সোমবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে হয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। একদিন আগেও এক ডলারে লেগেছিল ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর গত ১০ মে ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে পাঁচ থেকে ৭ টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ টাকায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ব্যাপক হারে আমদানি বেড়েছে। ফলে আমদানির দায় পরিশোধে বাড়তি ডলার লাগছে। তাই মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে কারণে টাকার বিপরীতে বাড়ছে ডলারের দাম। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের উপর চাপ পড়েছে। বাজার বিবেচনা করে ডলারের রেট ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, তবে আশার কথা আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে গড় মার্জিনসহ আমরা বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।