আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে টর্নেডোর ভয়াবহ আঘাতে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন ১২ জন। আরকানসাসে ৩ এবং টেক্সাসের অ্যামারিলো কাউন্টিতে ধূলি ঝড়ের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ওকলাহোমায়ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এই দুর্যোগে দেশটির ৬টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় আড়াই লাখ বাড়িঘর ও সম্পত্তি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় দেশটির এই অঞ্চলে আবহাওয়ার আরও অবনতির আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে।
পর্যবেক্ষণ সাইট পাওয়ারআউটেজ অনুসারে, পূর্ব লুইসিয়ানা, পশ্চিম জর্জিয়া, মধ্য টেনেসি এবং পশ্চিম ফ্লোরিডা প্যানহ্যান্ডেল জুড়ে টর্নেডোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে, এই অঞ্চলে আরও তীব্র আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, টর্নেডো আঘাত হানার আশংকায় মধ্য মিসিসিপিতে শনিবার সকালে টর্নেডোর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোরে ২৬টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। আরকানসাস, ইলিনয়, মিসিসিপি ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে বজ্রপাতও হয়েছে। মিসৌরি ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে বজ্রপাত ও তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। অধিবাসীদের যে কোন মুহূর্তে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, এই আকস্মিক বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এছাড়া শনিবার সকালে মধ্য মিসিসিপিতেও টর্নেডো সতর্কতার অংশ হিসেবে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
এনডব্লিউএস এই পরিস্থিতিকে “বিশেষ করে বিপজ্জনক” হিসাবে বর্ণনা করে এই অঞ্চলে “একাধিক তীব্র থেকে প্রবল শক্তিশালী টর্নেডো” সম্পর্কেও সতর্ক করেছে।
আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে: “আপনি যদি এই অঞ্চলগুলোতে বাস করেন, তাহলে আপনার কাছে যাওয়া যায় এমন সবচেয়ে শক্তিশালী অবকাঠামোতে যান এবং ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থানেই থাকুন।”