নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি যশোরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি হত্যাকাণ্ড, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, পিটিয়ে হত্যাসহ নানা সন্ত্রাসী অপতৎপরতার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব হত্যাকাণ্ডসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতিতে সন্ত্রাসীদের ‘আশ্রয়দাতাদের’ অফিস ও বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার যশোরের সমালোচিত কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হাসান মিলন ওরফে টাক মিলনের ব্যক্তিগত অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার রাতে শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে মিলনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। শেখ জাহিদ হোসেন মিলন যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। পুলিশ বলছে, মিলনের নামে হত্যা চাঁদাবাজিসহ ডজনখানিক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তিনি। বর্তমানে মামলা থেকে তিনি জামিনে রয়েছেন। তবে সম্প্রতি পালবাড়ি এলাকার হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবসায়ী আবুল বাশারকে চাঁদার দাবিতে মারধরের অভিযোগে কাউন্সিলর মিলনের অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে কাউন্সিলর মিলনের অফিস থেকে চার বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় কাউন্সিলর মিলনসহ তার চার সঙ্গীকে আটক করে পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, শহরের পালবাড়ি মাছ বাজার এলাকায় একটি মাদরাসার সাথে পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হাসান মিলনের একটি অফিস রয়েছে। সেখানে বসে তিনি রাতে সন্ত্রাসীদের নিয়ে মদপান করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছিলেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তার অফিসে তল্লাশি চালায়। এসময় টাক মিলন পুলিশের উপর চড়াও হলে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার চার সঙ্গিতে চারজনকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের সূত্রমতে, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে যশোরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ফলে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে যশোরের বিভিন্ন ক্রাইম পয়েন্টে অভিযান চালিয়েছে একাধিক টিম। চিহ্নিতদের মূলোৎপাটনে মাঠে নেমেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা, পুলিশের বিশেষ শাখা ডিএসবিসহ থানা পুলিশ ইউনিটগুলো। যশোর পৌরসভার ওয়ার্ড ওয়ারি অভিযান চলেছে। ডজনখানে স্পটে চলে এ অভিযান। এলোমেলোভাবে চলাফেরা করা অনেকের উপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে। এমনকি কয়েকজন কাউন্সিলরের অফিসে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত সস্ত্রাসীদের আটক করে যশোরের আইনশৃংখলা আরো সুসংহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।