আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: স্ত্রীর ফায়ফারমেস পূরণে ব্যর্থ ও অত্যাচার সইতে না পেরে তালাক প্রেরণের পর স্ত্রীর ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় পর্যুদস্ত স্বামী আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাকতাড়া গ্রামের কলেজ শিক্ষক খায়রুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ পলাশপোল গ্রামের আবুল হোসেন সরদারের কন্যা সারাবন তাহেরার সাথে পারিবারিক ভাবে ১০/১১ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শহুরে নারী হিসাবে গ্রামে বসবাসে অনীহা প্রকাশ ও নানাভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছিল। একপর্যায়ে ১৩ নভেম্বর ২০২১ ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে শরীয়ত মোতাবেক তালাক এবং মোহরানা ও খোরপোশ বাবদ অর্থ পাঠায়। পৌরসভা তালাকের কপি গ্রহণ করে।
অপরদিকে রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো তালাক না নিয়ে প্রায় ৩ মাস পর আমাকেসহ পরিবারের ৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করে। বর্তমানে জামিনে আছি। তারা ও তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে আমাদের আদালতে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন ভাবে খুন জখম ও গুমের হুমকী দিয়ে আসছে। ফলে আমরা রীতিমত ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি। অথচ সে বাদী হয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে জিডি করে বিষয়টিতে ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। অথচ ওই দিন ১ম রমজান ছিল। আমরা কেউ সেদিন সাতক্ষীরার যাইনি। তিনি সারাবানের ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইন আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।