নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বৃদ্ধ আব্দুল খালেককে আরো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন শহরের চিত্রা মোড়ের জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ২৪ জন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পাঁচ তারকা জাবির হোটেলে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। নিহত হন ২৪ জন।
১৮ আগস্ট এই ঘটনায় শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুইশ’ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেসন্স) তারিকুল ইসলাম তদন্ত করেন। তার বদলী হওয়ায় বর্তমানে মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন তদন্ত করছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সাথে একই দলের এমপি কাজী নাবিল আহম্মেদ গ্রুপের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ছিলো। পুরো দলটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই গ্রুপিং কাজে লাগিয়ে গত ৫ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল খালেক প্রকাশ্যে এবং গোপনে ইন্ধন দিয়ে শাহীন চাকলাদারের নিজস্ব পাঁচ তারকা জাবির হোটেলে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ২৪জন মানুষ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সে কারণে মামলাটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার এবং রিমাণ্ডে নিয়ে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মূল অপরাধের কারণ ও অপরাধীদের চিহ্নিত করে ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব।
তিনি আরো বলেছেন, অন্য মামলায় জেলহাজতে থাকা আব্দুল খালেককে স্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। সোমবার বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া শুনানি শেষে আব্দুল খালেককে স্যোন এরেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।