নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের চাঁচড়াস্থ ইকোর উদ্যোগে ১৮০ জন প্রশিক্ষণ সমাপ্তদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ইকো টেকনিকেল ট্রেনিং সেন্টারে এই সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা।
ইকোর প্রজেক্ট অফিসার আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রোগ্রামার আরিফ নূর, উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি ও প্রকৌশলী আসিফ উল্লাহ চৌধুরী জুয়েল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অসিত কুমার সাহা বলেন, হাতের কাজ শেখার কোন বিকল্প নেই। আজকে যারা প্রশিক্ষণ শেষ করে সার্টিফিকেট নিতে এসেছেন। তারা বসে থাকবেন না। নারীরা সেলাইকাজে যুক্ত হবেন। আর পুরুষরা যে ইলেকট্রিক ওয়ার হাইজের কাজ শিখেছেন তারাও কাজে লাগাবেন। নিজেরা কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হবেন। তাহলে দেশ থেকে বেকারত্ব দূর হবে।
তিনি বলেন, সবাইকে স্বপ্ন দেখতে হবে। আমাদের দেশে যারা বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা, তারা কেউ শুরু থেকে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন না। কঠোর পরিশ্রম আর ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমাদের দেশে দক্ষ মানকসম্পদের অভাব। নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুললে দেশে ও বিদেশে কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। নারীদেরকে ট্রেইলরিংয়ের কাজে যুক্ত হবার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ট্রেইলরিংয়ে পুরুষরা কাজ করেন। আপনারা (নারী) একাজে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
পুরুষ ওয়ার হাউজের প্রশিক্ষণ শেষ করা আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি ইকো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজে একটি দোকান নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন সংসার চালাতে আমার কোন কষ্ট হচ্ছেনা। আশা করছি সামনে আমি আরও ভালো কিছু করতে পারবো। এজন্য আমি ইকো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই তাদের এই মহতী উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে। তাহলে দেশ থেকে অনেক বেকরাত্ব কমে আসবে।
রোজীনা ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, আমি ট্রেনিং শেষ করা পর নিজ বাড়িতে বসে অর্ডার নিয়ে কাপড় সেলাই করছি। এজন্য আমার পরিবারে কিছু স্বচ্ছলতা এসেছে। এজন্য আমি ইকো কর্তপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের কারণে অনেক অসহায় নারীরা দক্ষ সেলাই প্রশিক্ষণ শিখতে পারছে।