নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবিতে ইট ভাটায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ কোটি টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের দফাদার ইট ভাটার মালিক হাবিব বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের ১৬ জন কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) যশোরকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হানেফ আলীর ছেলে ফসিয়ার রহমান, মৃত আজিত মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন, মৃত মোহাম্মদ আলীর তিন ছেলে নবিরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম ও জিয়ারুল ইসলাম, মৃতদ খোকনের ছেলে লিটু, মৃত মোকাদ্দেস মোড়লের দুই ছেলে জব্বার হোসেন ও কবির হোসেন, মৃত হাচেন আলীর ছেলে মারুফ হোসেন, মৃত আবু তালেব মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম, সাকাওয়াত হোসেন ছাকার ছেলে মোস্তবা, শাখারীগাতি গ্রামের মৃত মুছা মোল্যার ছেলে মহিদ হোসেন, মৃত মজিদ মোল্যার ছেলে বাবুল আক্তার বাবু, আব্দুল গফ্ফার গাজীর ছেলে শাকিল হোসেন, গোপালপুরের আলিম মল্লিকের ছেলে শামিম ও মৃত আজিজার রহমানের ছেলে পিন্টু।
হাবিব মামলায় উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন লোকের জমি লিজ নিয়ে দফাদার নামে ইটভাটা তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। আসামিরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রাজি না হলে ২০১৪ সালের ২২ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইটভাটায় যান। এসময় তার কাছে পূবে দাবিকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকা চায়। দিতে রাজি না হলে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায় ইটভাটার অফিসে ড্রয়ারের মধ্যে থাকা এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এছাড়া তারা ওই ভাটা থেকে ১০টি স্যালো মেশিন, দুইটি বোলার মেশিন, একটি জেনারেটর, পাঁচ ব্যারেল ডিজেল, দুই ব্যারেল মবিল, ৮০ লাখ টাকার ইট এবং অফিস কক্ষ ভাংচুর করে আরো ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসহ মোট এক কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আদালতে এই মামলাটি করা হয়েছে।