ক্রীড়া ডেস্ক
২০২৫ সালে ভারতে বসবে মেয়েদের বিশ্বকাপ। ওই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ভারত বাদে আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলের শীর্ষ পাঁচটি দল সরাসরি খেলবে। এই কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার পাকিস্তানকে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেছে। সামনেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। সেখান থেকেও আরও কিছু পয়েন্ট পেতে ২২ গজে নামবে বাংলাদেশ। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার লক্ষ্য পূরণের ইচ্ছা বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির।
পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হারানোর পর উচ্ছ্বাসে মেতেছেন নারী দলের ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিগার জানালেন এই জয়ের গুরুত্ব কতখানি, ‘জ্বি অবশ্যই। এই পয়েন্টগুলো আমাদের চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। আমাদের কোয়ালিফায়ার যেন না খেলতে হয়, সেই দিক চিন্তা করে এগোচ্ছি। কারণ যত পয়েন্ট আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো থেকে নিতে পারবো, তত আমাদের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। আমাদের প্রত্যেকটা সিরিজে এই উদ্দেশ্যই থাকে। আমরা এই হিসাব নিকাশ করে এগিয়ে যাই, যেন এই পয়েন্টগুলো আমাদেরকে সাহায্য করে।’
আগামী ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগানো গেলেও অ্যাওয়ে সিরিজে সেটি সম্ভব না। তবুও বাইরের কন্ডিশনে খেলতে তারা খুব ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘টিমের যে কন্ডিশন দেখছি আমার মনে হয় টিম ভালো একটা অবস্থায় আছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা একটু আগেই যাবো। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারলে আমাদেরও সম্ভাবনা থাকবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে বাংলাদেশকে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেন তারাও কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ তে হেরেছে। যদিও ওরা ওয়ানডেটা ভালো খেলেছে। সুতরাং ওদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য খুব বেশি না। অবশ্যই হোম কন্ডিশনের সুবিধা থাকে, সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় হিসাব করে যদি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা আছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়কে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন নিগার, ‘সব থেকে বড় কথা যে সিরিজ তো জিতেছি। প্রথম ম্যাচ অবশ্যই বলবো যে আমাদের জন্য সতর্কবার্তা ছিল। এখন পর্যন্ত সিরিজ জিতেছি এবং এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। পুরো দল যে জাত দেখিয়েছে, সেটা অবশ্যই বিশাল সাফল্য।’