নিজস্ব প্রতিবেদক
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে যশোরে বাড়তি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে জেলা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। ঈদ নির্বিঘ্নে পালনের জন্য বেশ কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের নিরাপত্তার জন্য থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের একাধিক মোবাইল টিমের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পোষাকধারী র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ও একাধিক প্রবেশ মুখে চেক পোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ও উচ্ছৃংখলদের তল্লাসি করা হচ্ছে। শহরতলীতেও একইভাবে ফাঁড়ি পুলিশ নিয়মিত টহল জোরদার করেছে। শহরে যানজট নিরসনে বাস মালিক শ্রমিকদের সাথে বৈঠকের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
র্যাব-পুলিশের সাথে মাঠে গোয়েন্দারা
বিভিন্ন পয়েন্টে সন্দেহভাজনদের তল্লালি
মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, পবিত্র রমজান ও ঈদ সামনে রেখে কোন মহল যাতে কোন ধরনের ইস্যু তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য থানা, ফাঁড়ি পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ঈদ উপলক্ষে এবার ২ সহস্রাধিক অতিরিক্ত পুলিশ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। রাতদিন একাধিক মোবাইল টিম কাজ করছে। ঈদ সামনে রেখে বিশেষ করে বাসা বাড়িতে ছিনতাই-ডাকাতি এড়ানোর জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বর্ষীয়ান সাংবাদিক দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম-উদ-দ্দৌলার ৭২তম জন্মদিন আজ
ঈদের আগে যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সাধারণ মানুষ নিরাপদে কেনাকাটা করে ঈদ পালন করতে পারেন, সেজন্য যশোর জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তকতা পালন করছে। পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকের পুলিশও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছেন। শহরের একাধিক প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ও উচ্ছৃংখলদের তল্লাশি করা হচ্ছে। শহরের মার্কেটগুলোর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ নিয়োমিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোন ঘটনার আশংকা দেখা দিলে পুলিশকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেলাল হোসাইন বলেন, ঈদে সব চেয়ে বেশি বিড়ম্বনার বিষয় হচ্ছে যানজট। যানজট নিরসনের জন্য বাসমালিক ও শ্রমিকদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। একই সাথে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে র্যাব যশোর ক্যাম্পের সদস্যরাও তৎপরতা শুরু করেছে। ক্যাম্পের কোম্পানির কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, ঈদগাহে আমাদের বাড়তি মোবাইল টিম থাকবে। পোশাক পরিহিত একটি ও সাদা পোশাকে দুটি টিম কাজ করবে। এছাড়া সারা শহর ও শহরতীলতে আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করবে। কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। কেউ অঘটন ঘটালে তাদের বিরেুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:যশোরে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে রক্ত ঝরছেই

 
									 
					