নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে শান্তিশৃংখলা রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যশোরের আইনশৃংখলা বাহিনী। উৎসব যাতে নির্বিঘ্ন হয় এজন্য জেলা পুলিশের সকল ইউনিটকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। এরই অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছাড়াও জেলা শহরের মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ-উল ফিতরে যশোরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে কোন ধরণের চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি যাতে না হয় সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ঈদে শহর ছেড়ে গ্রামে এবং গ্রাম ছেড়ে শহরের যাতায়াত করা লোকজনদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া হাট-বাজার গুলোতেও রয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে পূর্বের তুলনায় এ বছরে অজ্ঞান বা মলম পার্টির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। কিছুদিন পূর্বে ছিনতাই বা চাকু পার্টির প্রভাব থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে কোন অপরাধ সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি।
জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, সাদা পোষাকে মোবাইল টিম, স্ট্যান্ডবাইসহ বেশ কয়েকটি টিম বিভিন্ন কৌশল বা ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এদিকে শহরের আনাচে কানাচেও নিয়মিত টহল ডিউটি অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে পুলিশের পাশাপাশি যশোরের র্যাব সদস্যরাও নিয়মিত টহল ডিউটিসহ সাদা পোষাকে দায়িত্ব পালন করছে। অপরাধীদের ধরতে বিভিন্ন কৌশলে র্যাবও সব সময় মাঠে রয়েছে।
সূত্র মতে, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে আর যাতে কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেজন্য পুলিশের সব ইউনিটকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। একই সাথে শহরের চিহ্নিত অপরাধীদের আটক ও শহরের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেছেন, পবিত্র রমজান, ঈদ ও নববর্ষ সামনে রেখে কোন মহল যাতে কোন ধরনের ইস্যু তৈরি করে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকের পুলিশ। কেউ অপরাধ করলে তাকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়, যে কোনো দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী, নিত্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোন মহল যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক, বীমায় মানুষ যাতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে লেনদেন করতে পারে সেজন্য এখানেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের যানবাহন চলাচলেও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় বিশেষ ভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এছাড়া যশোরের ছুরি-কাচি ব্যবহার করে কিশোর গ্যাং। কিছু উচ্ছৃংখল দুষ্টু প্রকৃতির লোক ঈদ বাজারে ছিনতাই করে থাকে। পুলিশ এসব বিষয় মাথায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই ব্যাপারে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, আমরা সবাই সতর্ক থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব¡ পালনের মাধ্যমে পবিত্র রমজান ও ঈদ নিরাপদে নির্বিঘ্নে পালন করতে সক্ষম হবো।