নিজস্ব প্রতিবেদক
গত শুক্রবার রাতে দুটি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছে যশোর পুলিশ। চলতি মাসে ঈদুল ফিতর। এই উৎসবকে ঘিরে আর যাতে কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেজন্য পুলিশের সব ইউনিটকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। একই সাথে শহরের চিহ্নিত অপরাধীদের আটক ও শহরের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। রোববার দুটি হত্যাকাণ্ডে রহস্য উদঘাটন করা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
পুলিশ সুপার বলেছেন, পবিত্র রমজান ও ঈদ সামনে রেখে কোন মহল যাতে কোন ধরনের ইস্যু তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকের পুলিশ। কেউ অপরাধ করলে তাকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়, যে কোনো দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী, নিত্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোন মহল যাতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে যশোরে পৃথক দুই হত্যাকাণ্ডের প্রেস ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার, কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রলয় কুমার জোয়ারদার ঈদ সামনে রেখে সম্ভাব্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়, বাজার মনিটরিং ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাসহ বিািভন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদ নির্বিঘ্ন করতে সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি পোশাকধারী পুলিশের টহলে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যাংক, বীমায় মানুষ যাতে নিরাপদে নির্বিঘ্নে লেনদেন করতে পারে সেজন্য এখানেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ লক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় বিশেষ ভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমাজে সবাই সুস্থ না। কিছু উচ্ছৃংখল দুষ্টু প্রকৃতির লোক থাকে। যখনই ঈদের কেনাকাটা শুরু হয় তখনই বাজারে ছিনতাই হওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। যশোরের আর একটি কালচার ছুরি-কাচি। সেটাকেও আমরা মাথায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
প্রলয় কুমার জোয়ারদার আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা সবাই সতর্ক থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব¡ পালনের মাধ্যমে পবিত্র রমজান ও ঈদ নিরাপদে নির্বিঘ্নে পালন করতে সক্ষম হবো।