নিজস্ব প্রতিবেদক
মায়ের কোলে চড়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া সেই মিনা খাতুন এইচএসসি পাস করেছেন। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর ঘরে বসেই জানতে পারেন পাসের খবর। পেয়েছেন জিপিএ ৩.৭৫। মেয়ের আনন্দ উচ্ছ্বাসে বুক ভিজে যায় দরিদ্র পিতামাতার। খুশির সেই খবরে শুভেচ্ছা জানাতে মিনার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংগায় ফুল মিষ্টি নিয়ে উপস্থিত হন দৈনিক কল্যাণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিক্ষানুরাগী এজাজ উদ্দিন টিপু। তার সাথে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান-উদ-দৌলা মিথুন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শিমুল ও ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ।
মিনা খাতুন (২১) জন্ম থেকেই পঙ্গু। তাই বলে কখনো থেমে থাকেননি। পাড়ি দিচ্ছেন জীবনের সিঁড়ি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে গিয়েছিলেন হামাগুড়ি দিয়ে। সেই দৃশ্য তুলে ধরে দৈনিক কল্যাণ।
এসময় টিপু বলেন, মিনা জন্ম থেকে পঙ্গু হওয়া সত্ত্বেও জীবনের সাথে লড়াই করছেন। তার স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। তার সেই স্বপ্ন পূরণে রিপন অটো সার্বক্ষণিক তার সাথে থাকবে। এসময় তিনি ঘোষণা দেন মিনার কলেজে ভর্তিসহ পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করবে রিপন অটো।
সে সময় দৈনিক কল্যাণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু মিনাকে উপহার দিয়েছিলেন একটি অত্যাধুনিক হুইল চেয়ার। মিনার পড়ালেখার যাবতীয় খরচের ভার নিয়েছিলেন এই তরুণ সমাজসেবক। অদম্য মিনার স্বপ্ন পূরণে স্বপ্নের সারথি হয়েছিলেন তিনি। এবার সাফল্যের আর একধাপ এগিয়ে যাওয়ায় তার লেখাপড়ার সম্পূর্ণ ভার নিলেন এজাজ উদ্দিন টিপু
এসময় টিপু বলেন, মিনা জন্ম থেকে পঙ্গু হওয়া সত্ত্বেও জীবনের সাথে লড়াই করছেন। তার স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। তার সেই স্বপ্ন পূরণে রিপন অটো সার্বক্ষণিক তার সাথে থাকবে। এসময় তিনি ঘোষণা দেন মিনার কলেজে ভর্তিসহ পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করবে রিপন অটো।
মিনার বাবা আব্দুস সাত্তার রিপন অটোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, অভাবের সংসার। গ্রাম থেকে ডাব নিয়ে শহরে ভ্যানে করে বিক্রি করি। মেয়ে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও তার পড়াশোনার খরচ চালাতে পারতাম না। রিপন অটো দায়িত্ব নেয়ার পর মেয়েটা সাহস পেয়েছে। এখন সে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য মণপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মিনার মা আছিয়া বেগম বলেন, অভাব অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছি। রিপন অটো মিনার যাবতীয় পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আবেগ আপ্লুত হয়ে মিনা বলেন, আমি কারো বোঝা হতে চাই না। রিপন অটোর সহযোগিতা আমার চলার পথে সাহস যোগাবে।