ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
শার্শার উত্তর এলাকায় একটি চক্র চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে চলেছে। বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতি করায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে। এতে শান্তিশৃঙ্খলা যেমন বিঘ্ন ঘটছে তেমনি বিএনপির সুনামও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, কন্দপপুর গ্রামের আশাদুল ও তোতা, সোনানদীয়া গ্রামের মাগরিব, গাতিপাড়ার নজরুল, কেরালখালীর রাজুসহ কয়েকজনের একটি চক্র যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। সোমবার রাতে তারা কেরালখালী গ্রামের আব্দুল জলিলকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে গাতিপাড়ার ভাটার মাঠে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। তাদের এধরনের কর্মকাণ্ডের খবরে হতবাক হয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা। শুধু তাই নয়, এই চক্রটি ভায়না গ্রামের আজগারের কাছ থেকেও একইভাবে চাঁদা আদায় করেছে। আজগার নিজের গাছ বিক্রি করেছিলেন। সেই গাছ আটকে দিয়ে টাকা আদায় করে এই চক্রটি। এছাড়া ওই চক্রের বিরুদ্ধে কানাইনগর গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাস করা এক ভিক্ষুকের গরু বিক্রি করে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্র বলছে, আশাদুল, তোতা, মাগরিব, নজরুল ও রাজু উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদের এক নেতার সেল্টারে চলেন। ওই নেতার আশকারায় তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। তারা মানিকালী, ভায়না, কন্দপপুর এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। কার জিম্মি করে কিভাবে টাকা আদায় করা যায় সেবিষয়ে তারা ধান্দা করে বেড়ায়। তাদের বিষয়ে শার্শা পুলিশ অবহিত। বিএনপির নেতারাই তাদের অপকর্ম পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তাদের বিরুদ্ধে একশানে যাচ্ছে না পুলিশ। এ বিষয়ে যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।