নড়াইল ব্যুরো
উত্তাল নড়াইলে অবরোধ বিক্ষোভ মিছিল ও সভা সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। নড়াইল মুক্ত দিবসে দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এক সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের চাকরিচ্যুতির দাবিতে এসব সমাবেশ পালিত হয়েছে। নড়াইল-মাগুরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রেখেছেন। সভা থেকে দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টায় ৭১’এর দূরন্ত কিশোর, প্রজন্ম-৭১, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এই কর্মসূচি পালন করে। নড়াইল-মাগুরা সড়কে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে ১৬ মিনিটের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-৭১’র দূরন্ত কিশোর ও সিনিয়র সাংবাদিক সাথী তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খসরুল আলম পলাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন-১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এ্যাডভোকেট এস এ মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিলুকে তুচ্ছ ঘটনায় নির্যাতন করে। এঘটনার ছবি তোলার কারণে এসএ টিভির নড়াইল প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তারকে নির্যাতন করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে চাপের মুখে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন দেয়। বক্তারা আরো বলেন’-নির্যাতনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুই নাজির ও কয়েকজন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি এই নির্যাতন চালায়। এর দায় শুধু দুই নাজির ও ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারিদের না। উপস্থিত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিতে হবে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে নড়াইলসহ সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও সকল শ্রেনি পেশার মানুষ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দেয়া হবে বলে আল্টিমেটাম দেন বক্তারা। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের সরকারি সকল কর্মসূচি বয়কট করা হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এরআগে সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবন হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহিদুর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন-৭১’র মুজিব বাহিনীর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ হুমায়ুন কবির, এস এ মতিন, সাইফুল ইসলাম ‘হিলু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, লোহগড়ার কমান্ডার আব্দুর রউফ প্রমুখ। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন-৭১’র দূরন্ত কিশোর ও সিনিয়র সাংবাদিক সাথী তালুকদার, খসরুল আলম পলাশ ও সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।