সাজেদ রহমান: যশোরে ২৬ মার্চের পর অবাঙালিরা (বিহারী) সশস্ত্র হয়ে পাকহানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন মহল্লায় হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ চালাতে থাকে। তাদের মূল ঘাঁটি ছিল শহরের উপকন্ঠ ঝুমঝুমপুরে। তাদের অত্যাচারে শহর থেকে লোকজন পালাতে থাকে এবং এতে দারুণ প্রতিক্রিয়া হয়।
গ্রামে গ্রামে গঠিত সংগ্রাম কমিটি যশোর শহর আক্রমণের উদ্যোগ নেয়, বিশেষ করে বিহারী দমন এবং যশোর শহর দখলের জন্য। নড়াইলের জনগণও বিদ্রোহ করেন এবং পুলিশের অস্ত্রাগার ভেঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য খোন্দকার আব্দুল হাফিজ, লে. মতিয়ার রহমান, শহীদ আলী প্রমুখ তাদের সংগঠিত করেন।
নড়াইলের এসডিও কামাল সিদ্দিকী বিদ্রোহে যোগ দেন এবং তাঁর বাসা মুক্তিযোদ্ধাদের হেড কোয়ার্টার হয়ে দাঁড়ায়। মার্চ মাসের ২৯ তারিখে নড়াইল থেকে বিদ্রোহী নেতাদের নেতৃত্বে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার জনতা কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশী অস্ত্র নিয়ে যশোর শহর অভিমুখে মার্চ শুরু করেন। ঝুমঝুমপুরে তাঁরা বিহারীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন। কয়েক ঘন্টার আক্রমণে বিহারীদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। যশোর শহর দখলে আসে জনতার। অন্যান্য এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ যশোর শহরে আসেন।