নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর এক্স-ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত জেইসিএ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের দুইদিন পর শুরু হয়েছে ব্যাট-বলের লড়াই। রোববার শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ ওভারে গড়ানো উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দুটিতে জয় পেয়েছে দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাব ও হ্যালো পান্ডা স্কোয়াড। দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাব ৩ উইকেটে যশোর রেঞ্জার্সকে এবং হ্যালো পান্ডা একই ব্যবধানে রিপন অটোসকে পরাজিত করে।
দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক আশিকুল ইসলাম নিলয় প্রতিপক্ষ যশোর রেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। বল হাতে নিয়ে দারুন শুরু এনে দেন দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাবের দুই বোলার রনি হোসেন ও ফয়সাল ইমামী গোল্ড। তাতে প্রথম ৭ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২৫ রান জমা করতে পারে বোর্ডে। তবে যশোর রেঞ্জার্সের মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করতে পারে। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে হিমেল ২৩ বলে ২টি চারে ১২, শামীম শরীফ ১৭ বলে একটি চার ও ছয়ে ১৬, হৃদয় মোল্লা ২০ বলে ২টি চারে ১৯, অভিক ঘোষ বিল্টু ২৩ বলে ১টি চার ও একটি ছয়ে ২৬, ইমন ফারাজি ১২ বলে ২টি চার ও ছয়ে ১৭ ও জিএম তীর্থ ১৪ বলে ২টি চার ও একটি ২২ রান করেন। বল হাতে দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাবের রনি হোসেন ১৭ ও আশিকুল ইসলাম নিলয় ২২ রানে ২টি করে এবং মাহফুজুর রহমান ও সুমন একটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে দারুন শুরু এনে দুই ওপেনার মিকাইল ও গালিব। তিন ওভার ১ বল স্থায়ী এ জুটিতে আসে ২১ রান। গালিব আউট হয়েও গেলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মিকাইল। তুলে নেন টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি। দলকে শতক পার করে ইমন ফারাজির বলে আউট হয়ে যান এ উইকেটকিপার ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৮ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে ৬৬ রান করেন। মিকাইল আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাব। তবে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে সমস্যা হয়নি ফয়সাল ইমামী গোল্ডের কল্যানে। গোল্ড ১১ বলে ১টি চারে ৯ রান করেন। এরপাশে কাবিদ আল সিয়াম ১০ রান করেন। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার জন্য ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় মিকাইল। বল হাতে যশোর রেঞ্জার্সের ইমন ফারাজি ২৩ রানে ও তীর্থ ১৬ রানে দুটি করে উইকেট দখল করেন।
দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় রিপন অটোস। যদিও প্রতিপক্ষ হ্যালো পান্ডার ফিল্ডারদের তাতে কিছুটা অবদান আছে। ৫০ রানে প্রথম উইকেট হারানো রিপন অটোস মুহুর্তের মধ্যে ৬৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেটের দলে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত এ বিপর্যয় তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শেষ দুই বলে চার ও ছয় মেরে দলের সংগ্রহ শতক পার করেন আজমান হোসেন। আজমান ১৫ বলে ২১ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এর বাইরে ওপেনার আলিফ ৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছয়ে ৩৩, মিরাজ ১৪, মারুফ ১৬ রান করেন।
বল হাতে হ্যালো পান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু ২৬, মেহেরাব হোসেন নিলয় ২৭ ও সাকিন ১১ রানে দুটি করে উইকেট দল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে হ্যালো পান্ডা। তবে চুতর্থ উইকেটে দ্বীপ জ্যোতি ও সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাহিবের ৪৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে তারা। শেষ ওভারে যাওয়া ম্যাচ দুই চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে ইয়াসিন। ইয়াসিন ৭ বল তিন চারে ১৫ রান করেন। দ্বিপ জ্যোতি ২৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৩৭ ও রাহিব ২৫ বলে ২টি ছয়ে ২১ রান করেন।
রিপন অটোসের মোহাম্মাদ হোসাইন তিন ওভারে ১১ রানে ৩টি, মেহেদি হাসান শিবলি ১৯ রানে ও আজমান হোসেন ২৪ রানে ২টি উইকেট দখল করেন। দ্বীপ জ্যোতি ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়।
সোমবার একই মাঠে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে যশোর রেঞ্জার্স ও রিপন অটোস। বেলা দুইটায় দ্বীপ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিপক্ষ হ্যালো পান্ডা স্কোয়াড। ম্যাচ দুটি দৈনিক কল্যানের ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচারিত হবে।