নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃষ্টিপাতের কারণে পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে সময় সমন্বয় করতে নির্দেশ দিয়েছে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। রোববার (৩০ জুন) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিশ্বাস শাহীন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে জানানো হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র হতে জানা যায়, আগামী কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই কেন্দ্রের মূল গেইট খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা একঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় আধাঘণ্টা কিংবা একঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতীব জরুরি।
এদিকে গতকাল যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এইচএসসি শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ১ হাজার ৩২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়নি। সাতক্ষীরা ২৫১ নং কেন্দ্র থেকে একজন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শাহিন আহম্মদ জানান, যশোর শিক্ষাবোর্ডে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫৪ জন পরীক্ষার্থী ছিল। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১২৬ জন পরীক্ষার্থী। ১ হাজার ৩২৮ জন অনুপস্থিত। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খুলনায় ২৫৮, বাগেরহাটে ৯৩, সাতক্ষীরায় ১৬৯, কুষ্টিয়ায় ১৪৬, চুয়াডাঙ্গায় ১০৪, মেহেরপুরে ৫১, যশোরে ১৭২, নড়াইলে ৬৩, ঝিনাইদহে ১৯৮ ও মাগুরায় ৭৪ জন রয়েছে।
অন্যদিকে, এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে যশোরের ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের কক্ষ পরিদর্শকের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে ভিজিলেন্স টিম ও ট্যাগ অফিসার কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কেন্দ্রের কয়েক জন শিড়্গাথীকে সহযোগীতা করছিলেন। তার এ কাজে সহযোগীতার করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের আর এক শিক সালাহউদ্দীন মাহমুদ। এ ঘটনা কলেজে জানাজানি হলে কলেজে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন জানান, তরফদার কায়ছার পারভীনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। নিদের্শনা অনুযায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
