নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে একজনের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেলেও দুইজনের নামে পুলিশ মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার এএসআই টমাস মন্ডলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন এএসআই টমাস মন্ডল।
টামাস মন্ডলের দাবি গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিকের পেছনের রাস্তা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। এরা হলো, জয়নাল তালুকদারের ছেলে শহিদুল তালুকদার (৩৪) এবং শওকত মোল্লার ছেলে শাহিন (২৭)। এসময় দেহ তল্লাশি করে শহিদুলের জ্যাকেটের ভেতর থেকে ৮০ পিস এবং শহিনের জ্যাকেটের ভেতর থেকে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তবে আটক শহিদুলের স্ত্রী সামাইয়া খাতুন স্মৃতি জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক মোড় থেকে শাহিনকে কয়েক পিস ইয়াবাসহ আটক করেন এএসআই টমাস মন্ডল। এরপরে বাড়িতে শহিদুলের ঘর তল্লাশি করে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ’ টাকাসহ স্মৃতিকেও থানায় নিয়ে যায়। রাত ১১টার দিকে স্মৃতিকে ছেড়ে দেয়। তবে তাদের বাসা থেকে নিয়ে আসা টাকা গুলো দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এসময় শহিদুল পুলিশকে জানায়, বারান্দী মৌজায় একটি জমি কেনার জন্য জমির মালিককে বায়না দিয়েছিলেন সাড়ে ১১ লাখ টাকা। কিন্তু জমিটি কিনতে না পারায় জমির মালিক প্রথমে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ফেরৎ দেন। সেই টাকার মধ্যে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ’ টাকা ঘরে রেখেছিলেন। রাতে ৮০ হাজার টাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা রেখে বাকি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫শ’ টাকা ফেরত দিয়ে স্মৃতিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আসামি শাহিন জানিয়েছে, তিনি মাদক সেবন করে। কিন্তু ব্যবসা করেন না।
এ বিষয়ে এএসআই টমাস মন্ডল জানিয়েছেন, ১১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আর কোন টাকা নেয়া হয়নি। পুরো ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ’ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। যা ভিডিও করে রাখা হয়েছে।
এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেসন্স) পলাশ বিশ^াস বলেছেন, টাকা রাখার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। তাদেরকে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দিয়ে দুইজনকেই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।