তালা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালার জালালপুর ইউপির গ্রাম পুলিশ বনমালী দাশ ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষদের নামে একের পর এক হয়রানি করতে মামলা, জমি দখল ও হামলা চলিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এই বনমালী দাশের হয়রানিমূলক মামলা শিকার হয়েছেন, জালালপুর গ্রামের নজরুল কারিগর, সিরাজুল ইসলাম, জেঠুয়া গ্রামের লুৎফর শেখ, শাহিন শেখ, নেহালপুর গ্রামের আনন্দ দাশ, নিরাপদ দাশ, সত্যপদ দাশ, অনিতা রানী দাশ, মাধব দাশ, চিত্যপদ দাশ, অমল দাশ, শুভংকর দাশ, সুকুমার দাশসহ অনেকে।
সরেজমিনে জানা যায়, তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ বনমালী দাশ ও তার দুই ছেলে এলাকাজুড়ে অত্যাচারের রাজত্ব কায়েম করেছেন। প্রত্যহ দিন তাদের কর্ম হলো সাধারণ মানুষের কাছ হতে জোর পূর্বক উৎকোচ আদায় করা আর তা ব্যর্থ হলে মামলা দিয়ে হয়রানি করে বিপাকে ফেলানো। কোন ব্যক্তির নামে মামলা দিতে না পারলে এই বনমালীর যেন ঘুম আসে না! মামলা দেওয়ার পাশাপাশি কোন নিরিহ ব্যক্তি তার বাড়ি ও মাঠের জমিতে কাজ করতে গেলেও তাকে দিতে হবে মোটা অংকের টাকা। টাকা না দিলে নানান বিধি অভিযোগ করে এক প্রকারের জিম্মি করেন তিনি। বনমালী গ্রাম পুলিশ হলেও সপ্তাহে ৫ দিনই আদালত চত্বরে থাকেন।
এমনকি পিতা গ্রাম পুলিশ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার দুই ছেলে এলাকায় ইভটিজিং,মারপিট ক্ষমতার দাপট দেখানো সহ চুরি করে দোষারোপ অন্যর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। তার এক ছেলে নাথ সম্প্রদায়ের এক মেয়ের সাথে প্রেমজ সম্পর্কের পর বিয়ে করে জালিয়াতির মাধ্যমে তালাক দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। এছাড়া এই বনমালীর স্ত্রীও তার স্বামীর অদৃশ্য ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মহিলাদেরকে অত্যাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নেহালপুর গ্রামের অনিতা দাশ জানান, তার ছেলের সাথে বনমালীর ছেলের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে সালিসে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ^াস প্রদান করলেও পুনরায় মারপিট করে একটি ছেড়া গ্রাম পুলিশে জামা পরিধান করে মামলা দায়ের করেন এই বনমালী। তার কাছে গ্রাম পুলিশের একটি ছেড়া জামা রয়েছে। কোন ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে কথা বললে ওই ছেড়া জামা পরিধান করে থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করা তার নেশা।
চিত্যপদ দাশ বলেন, তাদের প্রৈত্রিক জমিত বসত ঘর নির্মাণ করার সময় এই বনমালী মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমাদের জমির ভিতর বনমালী জমি পাবেন বলে দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং বসত ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। রেকর্ডীয় জমিতে ঘর করতে হলে এই বনমালী ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দেওয়ায় মাধব দাশের নামে কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন আদালতে।
সর্বশেষ
- যশোরসহ আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
- কর্মসংস্থান ও মাদকমুক্ত শার্শা গড়ার প্রত্যয় মফিকুল হাসান তৃপ্তির
- জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে কেশবপুরকে হারিয়ে সেমিতে চৌগাছা
- যশোরে বাসে আগুন : বিপুল, টাকমিলনসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- যশোরে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘লিটন ট্রেডিং’র শো-রুম উদ্বোধন
- পোস্টার নিষিদ্ধ, এখনই সরাতে দলগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি সিইসির
- সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট : প্রধান উপদেষ্টা
- যশোরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তিতাস আটক
