নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দলেও বর্তমানে সেরা একাদশে যশোরের দুয়ের অধিক ক্রিকেটারের একসাথে খেলা বিরল ঘটনা। সোমবার সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো যশোরের ক্রিকেটপ্রেমীরা। হংকংয়ে অনুষ্ঠিত নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের সেরা একাদশে ছিলেন যশোরের তিন ক্রিকেটার। তিন ক্রিকেটার হলেন ডানহাতি অফস্পিন বোলিং অলরাউন্ডার সুলতানা খাতুন, বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার মেঘলা ও ওপেনিং ব্যাটার রুবাইয়ত হায়দার ঝিলিক খেলেছেন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ৯৭ রানের জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মেঘলা ও সুলতানা। বল হাতে দুজনই কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন। মেঘলা বাঁহাতের ঘূর্ণিতে নিয়েছেন এক উইকেট। তবে বোলিং কোটার পুরো ৪ওভার পূর্ণ করে দিয়েছেন মাত্র ৬ রান। মেঘলার মতো সুলতানাও এক উইকেট নিয়েছেন। তবে সুলতানা মেঘলার থেকে কিছুটা খরুচে ছিলেন। সুলতান তার ৪ ওভারে দিয়েছেন ১০ রান। ব্যাট হাতে ঝিলিকের অবদান ছিল ১০ বলে ১০ রান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারে সুলতানা খাতুন, আমরা তিনজন যখন একসাথে মাঠে নেমেছি তখন আমার কাছে অনেক আশ্চর্য লেগেছে। আমরা তিনজনই একই কোচের কাছে শিখেছি। তিনজন একই সাথে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেললাম। কয়েকমাস ধরে একই সাথে দলের সাথে আছি। ইনশাআল্লাহ আমরা তিনজন যশোরবাসী তথা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো কিছু করতে পারবো। তিনি যশোরবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এই তিন জনেরই ক্রিকেটে হাতেখড়ি যশোর ক্লেমন আছিয়া ক্রিকেট ইন্সটিটিউটে। এই ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের প্রধান কোচ এহসানুল হক সুমন এ খবরে গর্বিত। যশোরের তিন মেয়ে একসাথে জাতীয় দলের খেলছে। তিনি বলেন, এটা আমার একার গর্ব নয়, পুরো যশোরবাসীর গর্ব। তিনজনই দীর্ঘদিন সময় ধরে জাতীয় দলে খেলুক এবং দলের জন্য ধারাবাহিক ভূমিকা রাখবে এই শুভকামনা রইলো।
