নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ বছর আগে যশোর উপশহর এলাকার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) নিহতের ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে মৃত দুজনসহ আটজনের নামে মামলাটি করেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী গাজী এনামুল হক।
আসামিরা হলেন, যশোর উপশহর সি-ব্লক এলাকার মনসুর আলম, বিরামপুর গামতলা এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য হাদিউজ্জামান চিমা, উপশহর ১১নম্বর সেক্টর এলাকার সেতু, লিটন ওরফে হাঁস লিটন, ঘোপ বউবাজার এলাকার টাক শিপন, ঘোপ কবরস্থান এলাকার তামিম, সিরাজ সিংহা গ্রামের কামরুল ও বরাত।
অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক জানান, আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাদী মামুনুর রশিদ বুলবুলের বাসায় বেড়াতে যান। বাড়িতে প্রবেশের মুহূর্তে তিনি দেখতে পান বাড়ির বাইরে রাস্তায় মনসুর, চিমা, টাক শিপনসহ অন্য আসামিরা অবস্থান করছে। বাড়ির ভেতরে গিয়ে তিনি বুলবুলকে কম্পিউটারে বসে কাজ করতে দেখেন। এর কিছু সময় পর মনসুর জানালা দিয়ে বুলবুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত বুলবুলকে সাথে সাথে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হওয়ায় এবং পরিবেশ অনুক’লে না থাকায় সে সময় স্বজনদের কেউ মামলা করতে পারেননি। যদিও মামলার আসামি টাক শিপন ও হাস লিটন মারা গেছেন।
