নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ছাত্র বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজিমুল ইসলাম সুমন ও রানার্সআপ হয়েছেন মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াকার ইউনিস। অপরদিকে ছাত্রী বিভাগে সেরা যশোর ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ কলেজের দর্শন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানিয়া খাতুন।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহিয়া খাতুন হয়েছেন রানারআপ। যশোর ক্রীড়াঙ্গনে নারী ফুটবল রেফারি হিসেবে পরিচিত তানিয়া ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড় এবং উচ্চ লাফে অংশ নিয়ে প্রথমস্থান অর্জন করেন। শনিবার শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যের কথা জানানো ও তাদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রধান অতিথি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যশোরের কৃতী সন্তান মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামানুসারে কলেজটির নামকরণ। এমএম কলেজ জেলার প্রসিদ্ধ একটি কলেজ। আমার বাবা কাজী শাহেদ আহমেদ পঞ্চাশের দশকে এখানকার ছাত্র ছিলেন। অনেক কৃতী শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সুষম উন্নয়ন চান। এজন্য মেগা প্রকল্পের পাশে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা উন্নয়ন অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছেন। বর্তমানে দেশে ১৩০ ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেয়ার পর দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আসল উন্নয়নের রহস্য শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।
কাজী নাবিল আহমেদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশে^ও সমাদৃত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ধর্মের কথা বলেন কিন্তু ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কোন বিবৃতি বা ঘোষণা দেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশে^ উচ্চ কণ্ঠে, আপোষহীন ভাবে মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিকী। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রেহমান আজিজের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মদন কুমার সাহা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কলেজ ছাত্রলীগ সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ও এনামুল হক ইমন।
গত তিন মার্চ শুরু হয়ে তিনব্যাপি প্রতিযোগিতা শেষ হয় ৫মার্চ। প্রতিযোগিতায় ২২টি ইভেন্টে পাঁচশ’র অধিক প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে কাজী নাবিল আহমেদ কলেজের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কর্নারের উদ্বোধন করেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।