নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদরের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের সিল ও স্বাক্ষর জালের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের জামিন কেন বাতিল করা হবেনা মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপশহর আলিম মাদ্রাসার তৎকালিন এডহক কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেছিলেন। মামলায় মাদ্রাসার সুপারসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছিল।
আসামিরা হলো, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মাদ্রসার সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ জাকারিয়া হোসেন, উপশহরের নুরুল ইসলাম, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়িয়া গ্রামের মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল ওহাব এবং সদরের চাঁদপাড়া মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক মফিজুর রহমান।
ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার বাদী মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেন। সভাপতি তাদের কথা কর্ণপাত না করায় চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয় আসামিরা। একপর্যায়ে আসামিরা সভাপতির শহরের ঘোপের বাসায় যেয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে আসামিরা বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। গত ধার্য তারিখে জিডির কপি আদালতে জমা দেয়া হলে বিচারক তা গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর সোমবার মামলার ধার্য দিনে শুনানি শেষে আসামিদের জামিন কেন বাতিল করা হবেনা মর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আসামিরা উপশহর আলিম মাদ্রসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়ন প্রসঙ্গে একটি মনগড়া সুপারিশমালা তৈরি করেন। ওই সুপারিশমালায় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের জাল সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার কমিটি তৈরি করে মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠিয়েছিল। এ কমিটির অনুমোদন না হওয়ায় পরে হাইকোর্টের একটি রিটের নোটিশের কাগজ-পত্র থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি ওই মামলা করেছিলেন।