নিজস্ব প্রতিবেদক
মাধ্যমিক পরীক্ষায় চলতি বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে। এবার এই বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬১৭জন।গত বছর জিপিএ -৫ পেয়েছিল ৩০ হাজার কত ৮৯২ জন। আজ শুক্রবার প্রকাশিত ফলাফলে যশোর বোর্ডের এ চিত্র উঠে এসেছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসার ডক্টর বিশ্বাস শাহীন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
এ বছর যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৫৮হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২১৩ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ও জি পি এ প্রাপ্তির সংখ্যা কমের কারণ জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডক্টর বিশ্বাস শাহীন আহমেদ জানান, গত বছর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়নি । করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা তিন ঘন্টা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল না। এ বছর তিন ঘন্টায ১০০ নাম্বার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে হিসাবে এবার যশোর শিক্ষা বোর্ডের ফল সন্তোষজনক হয়েছে।
কমেছে জিপিএ ৫ এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬১৭জন যেখানে গত বছর পেয়েছিল ৩০ হাজার ৮৯২ জন। শূন্য পাসের হারের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
যশোর বোর্ডের অধীনে এ বছর ২ হাজার ৫৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে তিনটি। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সাতক্ষীরা তালার উদায়ন সেকেন্ডারি স্কুল। বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী ৪ জন। কেউ পাস করেনি। নড়াইলের মুলাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পাশ করেনি। যশোরের শার্শা সাড়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ জন পরীক্ষার অংশ নিয়ে কেউ পাশ করেনি।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে ডঃ বিশ্বাস আয়না আহমেদ বলেন ‘শূন্য পাসের হারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।তিনি জানান অতীতে এ ধরনের সুপারিশ পাঠানো হলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেইনি মন্ত্রণালয়।
