শেখ আব্দুস্ সালাম, কপিলমুনি
কপিলমুনির ধান হাটে ফল ও কাপড়, পান হাটে ভাজা, চা ও চাল, মুরগী হাটে দূর্গন্ধ, বাইপাস সড়কে সুপারী ও মাছ, মাংসের চান্নীতে চা স্টল, পাইকারী তরকারি ও ধান হাট প্রধান সড়কে, সকল চান্নীগুলোতে চা স্টল, কপিলমুনি ছেড়ে মাছকাটা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাজার ঘিরে চারিদিকে যেন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাজারে আসা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু তা দেখার কেউ নেই।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবন উপকূলীয় দক্ষিণ জনপদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো কৃষি ও মাছ চাষ। এ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাছ চাষের সাথে জড়িত। রপ্তানিপূর্ব এই মাছের প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের বড় মোকাম কপিলমুনি। যার ওপর ভর করেই পরিচালিত হয় সমগ্র দক্ষিণ জনপদের মূল অর্থনীতি। উপজেলায় সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় খাত এই কপিলমুনি হাট। কপিলমুনি ছেড়ে মাছকাটা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে চলে যাওয়ায় কাটা কেন্দ্রিক অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মোকামও চলে যাওয়া শুরু করায় যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ঐতিহ্য হারাচ্ছে ব্যবসা বান্ধব হাটবাজারটি । নানা সঙ্কটে ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি হাটবাজার আজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন বাজার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কাজ না হওয়া, ব্যবসায়ীদের সাথে ইজারাদারদের মতানৈক্যসহ নানা জটিলতায় ইতোমধ্যে বাজারের একটি বড় অংশ অন্যত্র ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে স্থানান্তর হয়েছে। যেকারণে এসব ব্যক্তি মালিকাধানীন জমিতে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার।
বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে কপিলমুনি হাট আরবান সেন্টার স্কিম সিটি রিজিওয়ন ডেভলপমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরডিপি) এলজিইডি খুলনার তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়নের কপিলমুনি হাট উন্নয়নের জন্য জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও সুষ্ঠ চলাচলের জন্য কংক্রিট সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদারের কাজের ধীর গতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যার ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনের তো দূরের কথা, আগামী বর্ষা মৌসুমে কপিলমুনি হাট-বাজার সম্পুর্ণটাই চলে যেতে পারে ব্যক্তি মালিকাধানীন জমিতে।
কাঠ পট্টি ও পুলিশ ফাঁড়িঁর সম্মুখ থেকে প্রধান সড়ক ক্রস করে কলেজ রোডে নির্মাণাধীন ড্রেনের সাথে সংযোগ কাজ বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় কাজ শেষ না করে চলে গেছে ঠিকাদার। যেকারণে ফেরত চলে গেছে প্রকল্পের প্রায় ৭৬ লাখ টাকা। সম্প্রতি স্থানীয় এমপির আন্তরিকতায় ওই স্থানে কালর্ভাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
দাবি উঠেছে মাছ ও মাংস ও মুগরী বাজার কপোতাক্ষ চরভরাটি জায়গায় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দূর্গন্ধ মুক্ত পরিশে সৃষ্টি করতে হবে।