কল্যাণ ডেস্ক
দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে ৫ জুন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেদিন থেকেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।
এতে করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা করে কমেছে। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে কমেছে ১০ টাকা করে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরছে নিম্ন আয়ের মানুষজনের।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।
বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু নিম্ন মানের পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ একদিন আগেও ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবপণ্যের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন কিছুটা স্বস্তি মিলেছে পেঁয়াজের দাম নিয়ে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার পর থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
গতকাল যে পেঁয়াজ বাজার থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে সেই পেঁয়াজ আজ ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খুব সুবিধা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় গত ৫ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচাপণ্য গরমে অতিদ্রুত এটি পচে নষ্ট হয়ে যায় তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস করে নিতে পারেন সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।
বন্দর দিয়ে গত ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৯ কর্মদিবসে ২৬৮টি ট্রাকে ৭ হাজার ৪২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে এডিবি