লক্ষণপুর ও শিকারপুরে গণসংযোগ-উঠান বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি লক্ষণপুর ইউনিয়নে আগমন ঘিরে সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। প্রিয় নেতাকে জড়িয়ে ধরেন দলের নেতাকর্মীরা। স্বাগত জানাতে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার জড়ো হন শিকারপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। এখানে লক্ষণপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নং ওয়ার্ড শাখার নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করে। বক্তব্যে মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, জনগণের মুক্তির প্রতীক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যিনি মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্ষক। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশে স্বৈরতন্ত্রের শাসন চলছে, বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী পরিবার নির্যাতন, গুম ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে, কিন্তু তারা জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই থেকে সরে আসেনি। ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশনায়ক তারেক রহমান, যিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
তিনি শার্শার উন্নয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচিত হলে শার্শার কোনো রাস্তা কাঁচা থাকবে না, শিকারপুর হাই স্কুলে আধুনিক ডিজিটাল ভবন নির্মাণ করা হবে, নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে, শিক্ষিত বেকারদের জন্য বেকার ভাতা ও উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীদের কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আন্দোলপোতা খাল পুনঃখনন এবং সোনাইমুড়ি খালের পানি নিষ্কাশন উন্নত করে শার্শার জলবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং কৃষি কার্যক্রমে আধুনিক সহায়তা নিশ্চিত করার কথাও ঘোষণা করেন।
দৃঢ় কণ্ঠে তিনি ঘোষণা দেন, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ঘিরে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হবে এবং দেশনায়ক তারেক রহমান হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে তিনি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান এবং প্রতিটি ভোটারের হাতে লিফলেট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে তিনি লক্ষণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মহরম চেয়ারম্যানের ভগ্নিপতি ও ৩ নং ওয়ার্ডের মুক্তদাহ খামারপাড়া গ্রামের মরহুম জালাল উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি লক্ষণপুর বাজারে একটি পথসভায় অংশ নেন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পথসভা শেষে মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ করে, যেখানে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, মুনতাসিম আজিম সাগর, শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রিপন, বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহীদ, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন টিপু, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান শাওন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বিপ্লব মন্ডল, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইনজামামুল হক, শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন, বেনাপোল পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ শাওন।
সভাপতিত্ব করেন লক্ষণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি শামসুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সুলতান আলী মাস্টার, শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী মাস্টার, লক্ষণপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আমির হোসেনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী।
