আইয়ুব হোসেন পক্ষী, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: বেকারত্ব দূরীকরণ ও স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যম হিসেবে অনেকে এখন মুরগি পালনকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। স্বল্প পুঁজিতে মুরগির খামার করে জীবনে সুদিন ফিরেছে যশোরের শার্শা উপজেলার সূর্বণখালী গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের।
দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া কাটানোর পর ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়ে যান মাহাবুবুর রহমান। হতাশায় না ভুগে লেয়ার মুরগির খামার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এরপর শুরু করেন লেয়ার মুরগি পালন।
মাহাবুবুর রহমান তার নিজ বাড়িতে প্রথমে একটি শেড তৈরি করে এক হাজার লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দুইটি ভালোমানের মুরগির শেড এবং ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ৫০০ মুরগি রয়েছে। তিনি দৈনিক ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার ডিম পাচ্ছেন।
মাহাবুবুর রহমান বলেন, বহুদিনের প্রবল ইচ্ছা ও মনোভাব থাকায় আমি মুরগি পালন শুরু করি। মুরগি পালনে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। বর্তমানে আমার দুইটি মুরগির শেড রয়েছে এতে আমার মুরগি জায়গা হয় না, আমি আরো দুইটি শেড তৈরি করবো। সেখানেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেড় হাজার লেয়ার মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসবো। বর্তমানে প্রতি মাসে সেখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং সামনে আরো মুরগির ফার্ম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে খামারটি বৃহত্তম করার ইচ্ছা আছে।
তিনি বলেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই আমি এ পর্যন্ত এসেছি। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) ডা. রুবাইয়াত ফেরদৌস বলেন, খামারিদের আমরা সব সময় সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি। তিনি আমাদের কাছে আসলে আমরা ওষুধসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করবো।