নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য বিক্রি ও সংরক্ষণে একের পর এক চমকে উঠার মতো তথ্য মিলছে যশোরে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের অভিযানে ব্যবসায়ীদের অনৈতিক কারবার ধরা পড়ায় চোখ ছানাবড়া হওয়ায় উপক্রম হচ্ছে। এবার শার্শার নাভারণ বাজারে অবিক্রিত মুরগির গ্রিল ফ্রিজে রেখে দেয়া হয় কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে। এসব গ্রিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আবার সংরক্ষণ করা হয়। বুধবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয়ের অভিযানে এমন সব অনৈতিক কারবার ধরা পড়ার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
নাভারণের সাতক্ষীরা বাসস্ট্যান্ড মোড়ের হোটেল মুসলিম অ্যান্ড সুইটস নামধারী দোকানে নোংরা পরিবেশে মিষ্টি ও খাবার তৈরি, সংরক্ষণ এবং তৈরিকৃত মিষ্টিতে পোকা ও মাছির সদর্প উপস্থিতি পাওয়া যায়। মুরগির বাসি গ্রিল পুনরায় বিক্রির জন্য ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে রাখা আছে। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয় ১০ হাজার টাকা। একই অপরাধে হোটেল রাজকে জরিমানা করা হয় ৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে নাভারণ বাজারের মেসার্স মডার্ণ ফার্মেসিতে মেলে বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান’স স্যাম্পল। এ ফার্মেসিকে দিতে হয় ৩ হাজার টাকা জরিমানা।
এছাড়া, নাভারণ বাজারের ফলের দোকানে লিচু সঠিক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে কিনা দেখা হয় এবং লিচু বিক্রেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব। সার্বিক সহযোগিতা করেন ক্যাব যশোরের সদস্য আব্দুর রকিব সরদার এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা।