নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরেফ আহমেদসহ ৫ জাসদ নেতার ২৩তম হত্যাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে যশোর জেলা জাসদের উদ্যোগে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু রোডে জাসদ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম। আরো বক্তব্য রাখেন জাসদ যশোর জেলা শাখার মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায়, সহ সভাপতি আহসান উল্লাহ ময়না, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম, সাবেক সহ সভাপতি শরীফ আহমেদ আমিন, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মতিয়ুর রহমান পপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবর।
আলোচনা সভায় জাসদের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বলেন, রাজনীতিতে যত অর্জন হয় তার পিছনে থাকে ত্যাগী, দূরদর্শী ও সৎ নেতৃত্বের ভূমিকা। কাজী আরেফ আমাদের দেশে তাদেরই একজন। কাজী আরেফ মুক্তিযুদ্ধের অনেক ত্যাগ থেকেই স্বাধীনতার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। তারা তাদের বিশ্বাস ও বাস্তবতার ভিত্তিতেই স্বাধীনতার কাজে হাত দিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে গড়ে তোলেন নিউক্লিয়াস বা স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর স্কুল মাঠে সন্ত্রাস বিরোধী জনসভা চলাকালীন সময়ে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠক জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যা করে। একই সাথে নিহত হন জাসদ নেতা লোকমান হোসেন, অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, ইসমাইল হোসেন তফসের ও শমসের মন্ডল।