নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে সদর আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা মধুুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। যশোর জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আবু মুসা মধু যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের কাজী ভবনের সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করতেন। কাজী নাবিলকে সামনে রেখে তিনি ও সুজন সাত্তার বহু অপকর্ম করেছেন। যদিও সুজন সাত্তার এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। ৫ আগস্টের পর তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে মধুসহ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গ্রেফতার অন্যরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার নওদা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মুকুল আহম্মেদ মিঠু ও পুরাতন কসবা এলাকার লাইকুজ্জামানের ছেলে আলীমুজ্জামান। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারেক নাহিয়ান বলেন, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ধরণের অন্যায় করেছেন। বিশেষ করে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ পেয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন কসবা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে যশোর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। এসময় অফিসের বিভিন্ন মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সাবেক সহসম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা শংকরপুর এলাকার অ্যাডভোকেট এমএ গফুর।