নিজস্ব প্রতিবেদক
কারারক্ষী মোরশেদ আলমের নামে তার স্ত্রী যৌতুকের মামলা করেছেন। তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা গতকাল যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। তিনি যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের বাদশা মোল্যার মেয়ে। মোরশেদ আলম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর বিশ^াসের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বকসি বাজারের কারা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে কর্মরত আছেন। বিচারক গোলাম কিবরিয়া আসামির বিরুদ্ধে সমনজারির আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর মোরশেদ আলমের সাথে ফাতেমার তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণাংকার, মোটরসাইকেল, সাংসারিক মালামালসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয়। এরপর কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য শ^শুরের কাছ থেকে আরো ছয় লাখ টাকা গ্রহণ করেন মোরশেদ আলম। কিছুদিন পরে ভাই সোহেলকে বিদেশে পাঠানোর জন্য দেড় লাখ টাকা গ্রহণ করেন তিনি। এর কিছুদিন পরে স্ত্রী ফাতেমার পিতার নামে থাকা সব সম্পত্তি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন মোরশেদ আলম। রাজি না হওয়ায় ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। একপর্যায়ে অব্যাহতভাবে ফাতেমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মোরশেদ। শেষ পর্যন্ত ফাতেমাকে ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর একবস্ত্রে তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত কোন খোঁজখবর না নেয়ায় ওইদিন বিকেল চারটার দিকে মােরশেদকে বাদীর পিতার বাড়িতে ডেকে আনা হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও বাদীর আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে জমি লিখে না না দিয়ে এবং ১০ লাখ টাকা যৌতুক ছাড়া ফাতেমাকে নিয়ে সংসার করার জন্য মোরশেদকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জমি অথবা টাকা ছাড়া ফাতেমাকে নিয়ে আর সংসার করবেন না বলে চলে যান।