কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের সরকারী অনুদানের ৫০ হাজার টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জ সুবর্ণসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রল্লাদ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। টাকার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ভুয়া ভাউচার ও কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশন করিয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার সূবর্ণসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ০১-০৯-২৩ তারিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রহল্লাদ কুমার বিশ্বাস। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ২০২২- ২৩ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক স্লিপের ৫০ হাজার টাকা অনুদান আসে। কিন্তু ওই টাকার বাজেট অনুযায়ী স্কুলের কাজ না করে গোপনে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অধিকাংশ টাকা লোপাট করেন। এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যরা বরাদ্দকৃত টাকার মালামাল ক্রয়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তাগাদা দিলে তিনি সমুদয় টাকা খরচ করে কালীগঞ্জ শিক্ষা অফিসে রেজুলেশন জমা দিয়েছেন বলে সাফ জানায়। এ নিয়ে এসএমসি কমিটির অভিযোগ তাদের সকলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশন বানিয়ে টাকা লোপাট করেছেন। এ ছাড়াও ওই শিক্ষক রুটিন মেইনটেইন্স’র বছরে ৮ হাজার টাকা খরচ করার নিয়ম থাকলেও তিনি পূর্বের জমাকৃত ১৭ হাজার টাকা খরচের ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রহল্লাদ কুমার বলেন, গত ১৪-১২-২২ তারিখের রেজুলেশনে সবার স্বাক্ষর করানো সম্ভব হয়নি। স্বাক্ষর না করিয়ে অফিসে রেজুলেশন জমা দেওয়াটা চরম ভুল ও অন্যায় হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কানিজ খাদিজা বলেন, প্রহল্লাদ কুমার ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫/২০ হাজার টাকার মালমাল ক্রয় করেছে। বাকি টাকা আত্মসাতের জন্য আমার স্বাক্ষর ও কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশন করেছে। তিনি জানান, যেদিন রেজুলেশনের তারিখ দেখানো হয়েছে সেইদিন আমি স্কুলে ছিলাম। তারপরও আমার স্বাক্ষর না নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে শিক্ষক প্রল্লদ বিশ^াস।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি জানলাম। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।