কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শালিস বৈঠক শুরুর আগেই দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে যশোরে রেফার্ড করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ওই গ্রামের সুজন ও নাছির নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে সংঘর্ষ পরবর্তী ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২০ জুলাই রাতে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাবুল মোল্ল্যা ওরফে ঘ্যানাকে কুপিয়ে জখম করে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। পরে এ ঘটনা মীমাংশার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন বুধবার বিকেলে পরিষদে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক শালিসি সভা ডাকেন। সভায় স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি পৌঁছানোর আগেই বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে পরিষদ অভ্যন্তরেই দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্ষায়ে উভয় পক্ষই লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ওই গ্রামের শওকত মোল্ল্যা (৬০), আলাউদ্দিন মোল্ল্যা (৪৫), নজির মন্ডল (৪৫) সেলিম (৪০), শাহাজান (৪৫), সোহান মোল্ল্যা (১৭) ও আমিরুল সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন জখম হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৫ জনকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এদিকে পুলিশের উপস্থিতির পর সংঘর্ষ থেমে গেলেও পরে ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কালীগঞ্জ থাানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হলেও এখনো কেউ কোন পক্ষ থেকেই অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।