কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তিন মৃত্যুর ঘটনায় বহুল আলোচিত ‘বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রেতা’ হোমিও হলের মালিক রেজাউল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১০ টায় পুলিশ বারবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে তার দোকান তল্লাশি করে পুলিশ বিপুল পরিমাণ এলকোহল দ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৩ মার্চ রাতে তার দোকান থেকে স্পিরিট খেয়ে কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নদীপাড়া এলাকার ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খাঁ (৩৬), রিকসা চালক বিপুল দাস (৪৫) ও মধুগঞ্জ বাজার ঢাকালে পাড়ার রাজিব হোসেন (২৬) মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনার পর থেকেই স্পিরিট বিক্রেতা রেজাউল পলাতক ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, গত ৩ মার্চ শহরের নদীপাড়া ও ঢাকালেপাড়া এলাকার ৩ ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই আগের দিন রাতে শহরের রেজা হোমিও হল থেকে নেশা দ্রব্য স্পিরিট কিনে খেয়েছিলেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদের পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন, বিষাক্ত এ্যালকোহল পানেই তাদের মৃত্যু হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্ত করেও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ধরা পড়ে। মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার সকালে মৃত জাহাঙ্গীর খা’র ভাই আলমগীর হোসেন স্পিরিট বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
ওসি জানান, রেজাউলকে আটকের পর তাকে নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার দোকান তল্লাশি করা হয়। এ সময় বোতলে ভর্তি বিপুল পরিমাণ এলকোহল দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ তল্লাশি কাজে কালীগঞ্জ থানার এস আই ভবতোষ রায় ও সেকেন্দার আলীসহ অন্যরা অংশ নেন।
তল্লাশির সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মৃত জাহাঙ্গীর খাঁর ভাই আলমগীর খাঁ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এবং তার মা স্পিরিট বিক্রেতা রেজাউলকে একাধিকবার স্পিরিট বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু বিক্রেতা তা শোনেননি। তার অভিযোগ ওই বিক্রেতার কারণেই তার ভাইকে মৃত্যুবরণ করেছে। তিনি বিক্রেতার কঠিন শাস্তি দাবি করেন।