নিজস্ব প্রতিবেদক: কাস্টমের সাথে সমঝোতা হওয়ায় বেনাপোলে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। যেকারণে আজ সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে শুরু হচ্ছে আমদানি রফতানি কার্যক্রম। গত শনিবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগঠনগুলো।
বেনাপোল কাস্টম হাউজে অনুষ্ঠিত সমঝোতা সভায় উপস্থিত ছিলেন কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার আবদুর রশিদ, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়শেনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়শেনের সভাপতি সাজেদুর রহমান, ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়শেনের সভাপতি আজিম উদ্দিন গাজি প্রমুখ।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়শেনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন জানান, রোববার ধর্মঘট আহবানকারী ৭টি সংগঠনের সাথে কাস্টম কর্তৃপক্ষের সমঝোতা সভা হয়েছে। সেখানে ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়ায় আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। মামলাসহ হয়রানির বিষয়গুলো যাতে আগামীতে না হয় সে ব্যাপারে কাস্টম সজাগ থাকবে বলে জানিয়েছেন। যেকারণে আজ সোমবার সকাল থেকে বন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃক দুটি সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাসপেন্ড ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানিসহ কাস্টম ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। এতে দুই দিন বন্ধ ছিল ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের পণ্য লোড আনলোড। ফলে দু’দেশের বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্স (শুল্ক মুক্ত) এর মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিস এর ট্রাকে বিশেষ ভাবে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার শাড়ি, থ্রিপিচ, বাংলা মদ,্ ফেনসিডিল, বিদেশি সিগারেট, ওষুধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনর সাথে ভারতীয় ড্রাইভারের সরাসরি সহযোগিতা থাকলেও ট্রাকসহ ড্রাইভারকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের আমদানিকারক ঢাকাস্থ অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড ও ফ্যাশান ফোরাম লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় বুধবার বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সী ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুইটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউস। পাশাপাশি সিএন্ডএফের কর্মচারিদের নামেও মামলা করেন বেনাপোল পোর্ট থানায়। এ ঘটনার আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।