নিজস্ব প্রতিবেদক
দুটি কিডনি নষ্ট হওয়া রাজিয়া সুলতানা (৩৫) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। দেড় বছর ধরে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসায় তাদের সমস্ত অর্থ ও সামর্থ্য শেষ হয়ে গেছে। মানুষের সহায়তা নিয়ে তিনি বাঁচতে চান।
রাজিয়া সুলতানার স্বামী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবত তার স্ত্রী অসুস্থ। ২০২২ সালে প্রথমে তাকে ঢাকার ল্যাব এইডে চিকিৎসা করানো হয়। ব্যয়বহুল হওয়ায় পরে যশোর সদর হাসপাতালসহ ও খুলনায় চিকিৎসা করানো হয়। ইতোমধ্যে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে। তাই প্রতি সপ্তাহে দু’বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর জন্যে প্রায় ২৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়। তাছাড়া ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনে প্রতিমাসে ৫ বার যে ইনজেকশন দিতে হয় তার জন্যে ৭ হাজারের বেশি খরচ হয়। এভাবে দেড় বছর চলছে। সর্বশেষ তাকে মাসাধিককাল খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ৩ মে রিলিজ দিয়েছে। সপ্তাহ খানেক পর আবারো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান। রোগীর অবস্থাও ভালো না। একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা একান্ত জরুরি। প্রতিস্থাপনসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ১৫/১৬ লাখ টাকার দরকার। প্রতিস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত ডায়ালাইসিস অব্যাহত রাখা আবশ্যক। সেটিও ব্যয়বহুল।
মো. শহিদুল ইসলাম একজন পাইপ মিস্ত্রি। তিনি যশোর সদরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আদর্শ পাড়ায় থাকেন। প্রতিদিনের আয় ছাড়া বর্তমানে তার আর কোনো সহায় সম্বল নেই, যা দিয়ে তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ চালাতে পারেন। এমতাবস্থায় তিনি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার স্ত্রীর চিকিৎসা সহায়তার জন্যে বিকাশ সম্বলিত মোবাইল নম্বর ০১৭৫৩৪৩৫৬৮৯ তে অথবা তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার নামে ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখায় ২০৫০১২৫০২০৬৫৩৯৯০৯ নম্বর একাউন্টেও পাঠানো যেতে পারে।