সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার পল্লীতে এক গরিব-অসহায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইলিংকারী এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
তার নাম শহীদুল ইসলাম আবীর ওরফে আবিয়ার রহমান (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার শফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
পোড়াকাটলা এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়মিত উৎপাতের ধারাবাহিতকতায় ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন আবিয়ার রহমান।
এ সময় তিনি তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ের মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটান ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান।
এ ঘটনা জানাজানির পর মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে আবিয়ার রহমান তাতে অস্বীকৃতি জানান। ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা তার মাকে তালাক করে বেশ কয়েক বছর আগে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। মেয়েটির মা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে ভারতে চলে গিয়েছে। মেয়েটি গরিব নানার বাড়িতে অসহায় জীবন কাটাচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাখায়েতুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর নানি বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে গতকাল সোমবার (১২ জুন) শ্যামনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম আবির ওরফে আবিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।
আরও পড়ুন: কলারোয়ায় এলএসডি ও হেরোইনসহ সাবেক ইউপি সদস্য আট