যশোরে র্যাবের অভিযানে ৩টি বোমা, চাকুসহ ছয় কিশোর অপহরণকারী আটক হয়েছে। এ সময় উদ্ধার হয়েছে অপহৃত ৩জন। আটককৃতরা হলো নাজির শংকরপুরের আফজাল শরীফ (১৮), রুহুল আমিন (১৮), ইমরান হোসেন (২০), মণিরামপুরের মোস্তাকিম (১৭) ও রাব্বি (১৫) এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের নাইম কাজী (২১)। ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় বিশ্বাসপাড়ার মাঠ থেকে অপহণকারীরা সাগর, জাহিদুল ও মাসুম বিল্লাহ নামে তিনজনকে ধরে মারধর করে ও তাদের কাছে থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে নাজির শংকরপুরে পরিত্যক্ত একটি টিনশেড ঘরে তাদেরকে আটকে রেখে আরো টাকার দাবি করে। অপহৃত সাগরের বাবা বিষয়টি র্যাবকে জানালে যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করে। এ সময় ছয়জন অপহরণকারীকে তিনটি বোমা, চাকু ও নগদ টাকাসহ আটক করা হয়।
যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, অপহৃত একজনের অভিভাবকের তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের ভেতর দুইজন কিশোরগ্যাং এর সদস্য। তাদের নামে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, বোমা, অপহরণসহ একাধীক মামলা রয়েছে।
বয়সে কিশোর হলেও তারা ইতোমধ্যে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নড়াইল ও মণিরামপুরের কিশোরদের নিয়ে গড়ে তুলেছে টিম। এসব ছিনতাইকারীদের কি শাস্তি হবে তা আদালতে নির্ধারিত হবে। এমনও হতে পারে যারা ছিনতাইকারী বলে ধরা পড়েছে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাশ পেয়ে যেতে পারে। দেশটা নিরীহ মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি হবে এটা সবার কাম্য। অপরাধীদের অভয়ারণ্য হোক তা কেউ চায় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হিং¯্র হায়েনার মতো দুর্বৃত্তরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আর নিরীহ মানুষ তাদের ভয়ে আতংকিত জীবন যাপন করছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিন্ত ও বাধামুক্ত করতে এসব শ্রেণির দুর্বৃত্ত দমনে কঠোরহস্ত হতে হবে। অপরাধের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যায় তাহলে সে রকম একটি পরিবেশ আশা করা যায়। অপরাধীরা রেহাই পেলে আরো অপরাধ করার আষ্কারা পাবে তারা। একটি অপরাধের শাস্তি না হলে আর একটি অপরাধ সংঘটিত হবার পথ প্রশস্ত হয়। আর সব অপরাধের সাথে কিশোর অপরাধীদের ঘটনা এক দাঁড়িতে মাপা যায় না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তারা ভয়াবহ রূপে আত্মপ্রকাশ করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।