নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামাই সাদিকুল রহমানসহ ৮/১০জন শ্বশুর হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ জানুয়ারি রাতে শহরতলীর শেখহাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ব্যাপারে আহত হারুন অর রশিদের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত আলিফ বাদী হয়ে সাদিকুল রহমানসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ সব আসামিকেই আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন- ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তালসা গ্রামের এজাজুল ইসলাম মল্লিকের ছেলে বর্তমানে যশোর উপশহরের ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা সাদিকুল রহমান (২৪), যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাবু পাড়ার শেখ মনিরুজ্জামান মনুর ছেলে আব্দুর রহিম দিপু (২৫), একই উপজেলার উপশহর এস ব্লকের রওশন আলীর ছেলে নাসিম আহম্মেদ (২২), শেখহাটি মিয়া বাড়ির মহাসিন রেজার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রোমান সৌরভ (২২), উপশহর এ-ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে আল আমিন (২৯), শহরের ঘোপ বেলতলার মন্ডল চন্দ্র বর্মনের ছেলে আব্দুল সোলাইমান জীবন (২৪), বারান্দীপাড়া বউ বাজার এলাবার শাহাবুদ্দিনের ছেলে সেতু মুন্সি (২৩)।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, তিনি পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। আসামি সাদিকুল রহমান তার সৎ বোনের স্বামী। পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাদিকুলের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৮ জানুয়ারি সকালে পেশাগত কাজের জন্য বাড়ি থেকে চলে যান। বাড়িতে তার বাবা, মৎ মাসহ পরিবারের অন্য লোকজন ছিলেন। ২৯ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে সাদিকুলের নেতৃত্বে সকল আসামি তাদের বাড়ির টিনের গেট ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এরপরে তার পিতা হারুন অর রশিদকে হাতে, পায়ে, বুকেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে হারুন অর রশিদকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইয়াছিন আরাফাত আলিফ হাসপাতালে এসে তার পিতাকে দেখে থানায় এই মামলাটি করেছেন।
এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেসন্স) পলাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, হারুন অর রশিদকে হত্যাচেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামিকেই আটক করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।