জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় নেতাদের দেয়া নির্দেশনা অমান্য করেছেন যশোর জেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোর আগমন ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতারা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি দিয়ে প্যানা, বিলবোর্ড ও তোরণ নির্মাণ নিষেধ করেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতারা যশোরে সভা থেকে এমন নির্দেশ দেওয়ার পরদিন বুধবার আজিজুল আলম মিন্টু নিজের ছবি দিয়ে বিলবোর্ড লাগিয়েছেন। যা দেখে অবাক হয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা করবেন। তার আগমন ঘিরে যশোরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিপুল লোকসমাগম ঘটানোর লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভা-সমাবেশ জোরদার হয়েছে। জেলা থেকে উপজেলা এবং ইউনিয়ন থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সাথে যশোরকে উৎসবের নগরীতে পরিণত করার কাজও এগিয়ে চলছে।
মঙ্গলবার যশোর সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন।
যশোরে ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেয়াসহ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয় তারমধ্যে অন্যতম ছিল তোরণ, বিলবোর্ড, প্যানা ও ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাইরে আর কোনো নেতা-নেত্রীর ছবি ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু নির্দেশনার একদিনের মাথায় বুধবার ঈদগাহ ময়দানের প্রধান ফটকের সামনে ঝুলতে দেখা যায় যশোর জেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি আজিজুল আলম মিন্টুর ছবি সম্বলিত বিশাল বিলবোর্ড।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোরে আগমন উপলক্ষে খেটে খাওয়া দিনমজুর মেহনতি শ্রমজীবী গণমানুষের পক্ষে তিনি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিলবোর্ডে। বিলবোর্ডে নিজের ছবি, সংগঠনের পদবী এবং আগামী সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী বলেও উল্লেখ করেছেন। অবাক হওয়ার ঘটনা হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির চেয়ে তিনি নিজের ছবি বড় করেছেন। বিলবোর্ডে যশোর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি-সম্পাদকের ছবি ব্যবহার করা হলেও তা তুলনামূলকভাবে খুবই ছোট করে দেয়া রয়েছে।
বিষয়টি নজরে আসার পর দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ভেঙে বন্ধুপ্রতীম একটি সংগঠনের সভাপতির এ ধরণের কর্মকা- কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
এব্যাপারে আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, বর্ধিত সভার ৩ দিন আগে আমার প্যানা টাঙানো। অন্যরা যদি না লাগায় বা লাগানো প্যানা ও বিল বোর্ড সরিয়ে নেয় আমিও সেটা কররো।