জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্য করে শ্রমিক লীগ নেতা আজিজুল আলম মিন্টু বিলবোর্ড ঝুলানোর পর একই পথে হাঁটলেন যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক এবং ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন।
বৃহস্পতিবার ঈদগাহ ময়দানের প্রাচীরে ঝুলতে দেখা যায় মিলনের ছবি সম্বলিত বিশাল বিলবোর্ড। বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার ছবি ছোট করে নিচের দিকে বড় আকারে দেয়া হয়েছে এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও মিলনের ছবি। এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে শেখ জাহিদ হোসেন মিলন বলেন, এটা তার জানা ছিল না। আগে থেকে প্যানা অর্ডার দেয়া ছিল দাবি করে তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাড়া অন্য কোন নেতার ছবি দিয়ে বিল বোর্ড না দিতে পত্র দিয়েছে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দৈনিক কল্যাণে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অমান্য করে মিন্টুর বিলবোর্ড ঝুলানোর খবর প্রকাশিত হয়। দিন শেষে বিকেলে পত্রিকা দপ্তরে আসে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে-৮ নভেম্বর যশোর সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ, পোস্টার, লিফলেট বা অন্য কোনো প্রচার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া অন্য কারোর ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, ডিজিএফআই, এনএসআই ও ডিসবি যশোরকে পত্র দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। যার কপি পত্রিকা দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।