নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের কেশবপুরের মাদারডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে কিশোর মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজের (১৭) বিয়ের তিন সপ্তাহ পর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রাতে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার স্ত্রী মিশকাতুল (১৮)। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট শহরের হরিনখানা এলাকার মো. নেকবার মল্লিকের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
তবে কিশোর মনির বাবার দাবি স্ত্রী মিশকাতুল ও তার স্বজনরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে। মনি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
তার স্ত্রী মিশকাতুল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বরশিবাওয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মীরের মেয়ে। মিশকাতুল বাগেরহাটের একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমের সর্ম্পকের জেরে গত ২৫ এপ্রিল তারা বয়স গোপন করে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ায় বুধবার গভীর রাতে মিশকাতুল ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মনিরুজ্জামান মনি ওরফে আলিরাজের মৃত্যু সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরের স্ত্রী মিশকাতুল বলেন, প্রেমের সম্পর্ক থাকায় আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি। গত রাতে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হলে মনিরুজ্জামান বিয়ের কাবিনের ছয় লাখ টাকা দিয়ে চলে যাওয়ার কথা বলে। তখন আমি ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটেছি এবং ২০টি ঘুমের ওষুধ সেবন করি।
মনির বাবা মো. আব্দুল হালিম বলেন, আমার ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে গোপনে বিয়ে করে মিশকাতুল। বিষয়টি আমাদেরকে অনেক পরে জানিয়েছে। আমরা এই বিয়ে মেনে নেয়ার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু ছেলেকে আমাদের কাছে যেতে দেয়া হতো না। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না, মিশকাতুল ও তার পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী মিশকাতুল পুলিশ পাহারায় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।