নিজস্ব প্রতিবেদক
কেশবপুরের নরসুন্দর চঞ্চল দাস হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল চার্জশিটের উপর বাদীর নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
এরআগে পিবিআই তদন্ত করে দুইজনকে অভিযুক্ত ও একজনকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চঞ্চল দাস পেশায় নরসুন্দর। ২০২২ সালের ৩০ জুন সন্ধ্যায় পর চঞ্চলের মোবাইলে একটি কল আসে। কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় চঞ্চল। হঠাৎ রাত নয়টার পর প্রতিবেশী বিকাশের বাড়িতে হৈচৈ শুনে চঞ্চলের পিতা যেয়ে দেখেন তার ছেলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বিকাশের উঠানে ছটফট করছে। চঞ্চলের গলা ও পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেয়ার পথে রাত ১১ টার পর চঞ্চল মারা যায়। এ ব্যাপারে নিহত চঞ্চলের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আনন্দ দাস ও তার ছেলে সুদেব দাস এবং পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাসকে আটক করেন। সুদেবের বোনকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও চঞ্চল কর্ণপাত না করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে তারা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিল। আসামিদের দেয়া জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযুক্ত আসামিরা হলো মজিদপুর গ্রামের আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাস ও পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্ত সুদেব দাসের পিতা সুমন দাসের অব্যাহতির আবেদন করা হয় চার্জশিটে।
এ চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নিহতের পিতা কার্তিক দাস। গত বুধবার আবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচার নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডি পুলিশকে পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।