নিজস্ব প্রতিবেদক
কেশবপুরে স্বামী মনিরুজ্জামান জিল্লুকে হত্যা মামলার বাদী সখিনা নিজেই শেষ পর্যন্ত আসামি হলেন। গত ১১ মার্চ রাতে উপজেলার আড়ুয়া গ্রামের চা বিক্রেতা জিল্লু হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এসআই গোরাচাঁদ দাসতদন্ত শেষে মামলা বাদী ও নিহতের স্ত্রী সখিনা খাতুনকেই অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছেন। অভিযুক্ত সখিনা বেগম নিহতের স্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য চরমণী মোহন গ্রামের মোতাহার পাটোয়ারির মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জিল্লু কাটাখালি বাজারের চা দোকানি ছিলেন। চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে বাজার থেকে নিখোঁজ হন তিনি। ২২ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানের মধ্যে একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জিল্লুর স্ত্রী সখিনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান কেশবপুর থানার এসআই গোরচাঁদ দাস।
এ মামলা নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত জিল্লুর স্ত্রী সখিনা খাতুনকেই আটক করেন। সখিনা খাতুন তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, জিল্লু বুকের ব্যাথায় ভুগছিলেন। ঠিকমত হাটাচলা করতে পারতেন না। মোবাইল ফোনে বেশি কথা বলা নিয়ে স্ত্রী সখিনার সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সখিনা আত্মহত্যা করার কথা বলে পাশের একটি বাগানে যায়। তাকে ফিরিয়ে আনতে জিল্লুও সেই বাগানে গেলে সখিনা তাকে ডোবার মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর জিল্লুর গায়ের গেঞ্জি দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে চলে যায় সখিনা। পরে সখিনা নিজেই বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করে।
এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামি সখিনার দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।